নিজের ডিপ্টের বুথ বসানো নিয়ে আলোচলা সভা
আজকে(২৫/১২/২০১৯)আমরা যারা বরিশাল ছিলাম, সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত মঞ্চে দেখা করেছিলাম। উদ্দেশ্য ছিল আগত ভর্তিচ্ছুক জুনিয়রের জন্য আমাদের ডিপার্ট মেন্ট থেকে একটা বুথ বসানো যায় কি না সেই বিষয়ে আলচনা করে। যদিও আমরা বরিশালে অনেক কম সংখ্যক বন্ধু বান্ধবী উপস্থিত ছিলাম।
Meeting শেষে সেল্ফি
কারণ আমাদের ফাইনাল পরীক্ষার এখনো ডেট দেওয়া হয় নি। আবার এরি মধ্যে শীতকালীন ছুটি পেয়েছি প্রায় ১৫ দিনের মত। তাই অধীকাংশ পোলাপান তাদের ছুটিটাকে আনন্দঘন করে পরিবারের সাথে কাটাতে নিজ নিজ দেশের বাড়ি চলে গেছে। তবুও আমরা যে কয়জন অভাগার মত বরিশালে পড়ে ছিলাম তারা আসার চেষ্টা করেছি। আমরা সবাই মুক্ত মঞ্চের সবুজ ঘাসের উপর বসে আমাদের কার্যক্রমের Meeting চালাচ্ছিলাম।আমরা যারা উপস্থিত ছিলাম
- হাফিজুর রহমান(আমি)
- নীলয় নন্দি
- আবদুল্লাহ সাদ
- হাসিবুল শান্ত
- শোয়েবুর রহমান সিফাত
- ইয়াসিন বরকন্দাজ
- মামুর বিল্লাহ
- দেবলিনা ঐশী
- জারিফ
- অপূর্ব কুমার দাস
- ফার্জানা আক্তার মৌ
- দ্বীপ
- সূবর্ণা সরকার কৃতি
- সৃষ্টি সাহা
যদিও ঐশী অনেক পরে এসেছিল। এক পর্যায়ে আমরা কথা শুরু করে দিলাম। আমাদের অধীকাংশই বুথ না দেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করলো।
Meeting এর পূর্বে তোলা একটা পিক
যেহেতু প্রত্যেক জেলা থেকে নিজ দায়িত্বে বুথ বসানো হচ্ছিল এবং আমরা প্রত্যেকে তার নিজ নিজ জেলা Association এ সংযুক্ত ছিলাম, তাই আমরা চাইনি নতুন করে কোন বুথ বসানো হোক। যা হোক এর পরেও অনেকে অনেক মত দিয়েছিল। কেউ বলেছিল স্যার হয়তো রাগ করবে, কেউ বলেছিল বড় ভাইয়েরা মাইন্ড করবে, আবার কেউ বলতেছিল এগুলা একটা ট্রেন্ড। সুতরাং করা উচিৎ। তবুও নানান কথার প্রেক্ষিতে হলেও আমাদের শেষ মেষ বুথ বসানোর সিদ্ধান্ত ক্যান্সেলই করতে হল। যাই হোক অনেকে এক সাথে হতে পেরে আমাদের বেশ ভাল লাগছিল। আমরা অনেক মজার মজার কথা বল্লাম। অনেক ছবি তুল্লাম।
একই দিনে তোলা আরো একটা ছবি
একটা কথা না লিখলেই নয়। মুক্ত মঞ্চে হটাৎ দেখি Accounting Depertment এর (ভার্সিটির ৮ম ব্যাচ) সব ছাত্র ছাত্রি হাজির হল। কথা বলে জানতে পারলাম ফাইনাল পরিক্ষা শেষ হওয়া উপলক্ষ্যে তারা একটা ক্লাস পার্টির আয়োজন করেছে। তার জন্যই সবাই ক্যাম্পাসে এসেছে। এখানেই সমস্ত রান্না বান্না সম্পন্ন করা হইবে। এক ফাঁকে দেখি তাদের ব্যাচের সব ছেলেরা হটাৎ বল ছোড়াছুড়ি খেলা করতে লাগলো। দেখে অনেক ভাল লাগছিল আমার। আমি কিছুটা Nostalgic হয়ে গেছিলাম। আমার ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেছিল। তখন আমরাও এভাবে বল ছোড়া খেলতাম। যাই হোক আবেগ ধরে না রাখতে পেরে আমি নিজেও তাদের সাথে একটু দৌড়া দৌড়ি, হৈ হুল্লোড় করতে লাগলাম। কিন্তু আমি তো তাদের দলের কেহ না, তাই আমার কাছে কেউ বল দিচ্ছিল না, আবার কেউ আমার গায়ে বল নিক্ষেপও করছিল না। যাই হোক এভাবেই একসময় সন্ধ্যে নেমে আসলো। আমি আমার বাসায় চলে আসলাম, আর কিছু বন্ধু ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য ক্যাম্পাসের দিকে চিলে গেল। এভাবেই আমার দিনটা শেষ হল।
Post a Comment