পিএইচডি (Phd) কি এবং কিভাবে পিএইচডি (Phd) করা হয়!!

আসুন Phd সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক। প্রথমে রিকুয়েষ্ট করছি ধৈর্য ধরে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য পিএইচডি সম্পর্কে অনেকেরই স্বচ্ছ ধারণা নেই। আর এর যথেষ্ট কারণ আছে। আপনি এটা নিশ্চই জানেন যে, উচ্চশিক্ষার মধ্যে পিএইচডি সর্বোচ্চ একটা ডিগ্রী। তাই পিএইচডি করার জন্য স্নাতকোত্তর (এমএসসি/এমএ) ডিগ্রী অথবা এমটেক থাকা দরকার

sorce: google


পিএইচডি সম্পর্কে অনেকেরই স্বচ্ছ ধারণা নেই। আর এর যথেষ্ট কারণ আছে।

আপনি এটা নিশ্চই জানেন যে, উচ্চশিক্ষার মধ্যে পিএইচডি সর্বোচ্চ একটা ডিগ্রী। তাই পিএইচডি করার জন্য স্নাতকোত্তর (এমএসসি/এমএ) ডিগ্রী অথবা এমটেক থাকা দরকার।

এখন পারিবারিক বা অর্থনৈতিক কারণে এতটা সময় (আরও বছর) একটা অনিশ্চিত জীবন যাপনের চেয়ে একটা চাকরি পেয়ে সহজ সরল জীবন অনেকেই বেছে নেন। (এখানে বলে রাখি বিদেশের অনেক জায়গায় 3 বছরেও পিএইচডি করা যায়)

আরও গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় হলো ব্যক্তিগত ধৈর্য আর কঠিন অধ্যাবসায়। এই দুটো জিনিস না থাকলে পিএইচডির কথা না ভাবাই ভালো

এইবার আসি আসল উত্তরে।

প্রথমেই বলবো, পিএইচডি কোনো সাধারণ পড়া নয়। সাধারণত অন্য যে কোনো ডিগ্রী অর্জনের জন্য একটি বিশেষ পাঠ্যসূচি নির্দিষ্ট থাকে। যেটা পড়ে একবার পাশ করতে পারলেই কাজ শেষ

এখানে আপনাকে নিজেকে নতুন কিছু খুঁজে বার করতে হবে, যেটা আগে কারও জানা ছিল না। এইবার এই নতুন কিছু খোঁজার জন্য আপনাকে অনেক পড়াশোনা (প্রচন্ড রকমের) করতে হবে। বুঝতেই পারছেন কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই আপনি নতুন কিছু করতে পারেন।

এই কাজে সফল হলে অর্থাৎ নতুন কোনো ফলাফল পেলে আপনাকে সেটা সাইন্টিফিক কমিউনিটিকে জানানো এবং তাদের থেকে আপনার কাজের সিলমোহর নেয়ার জন্য আর্টিকেল লিখতে হবে। যেটাকে রিসার্চ পেপার বলে।

আপনার হাতে একটি বা একাধিক ফলাফল (রিসার্চ পেপার) থাকলে আপনি ডিগ্রীর জন্য আবেদন করতে পারেন। এটা সাধারণত পিএইচডি সুপারভাইসর সিদ্ধান্ত নেন। এছাড়াও একটি ডক্টরাল কমিটি থাকে এইসব সিদ্ধান্ত বিবেচনা করার জন্য।

সব কিছু ঠিক থাকলে সর্বশেষ আপনার পুরো পিএইচডির কাজ প্রেসেন্টেশন দিতে হয়। যেটাকে ফাইনাল ডিফেন্স বলে।

এবং এই পাঁচটা বছর (কম/বেশি হতে পারে) কঠোর পরিশ্রমের ফলাফল হিসাবে আপনার নামের আগে ডঃ উপাধি যুক্ত হয়।

সুতরাং এখন নিশ্চই জলের মতো পরিষ্কার যে, পিএইচডি কোনো একটি সাধারণ পরীক্ষা নয়, যে মুখস্থ করে পরীক্ষার হলে গিয়ে লিখে দিলেন আর পাশ করে গেলেন।

সম্পাদনা

অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে,  বিএসসি করার পর পি এইচ ডি করা যায় কি না। তাই কিছু তথ্য জুড়ে দিলাম।

বিএসসি করার পর আপনি ইন্ট্রিগেটেড পিএইচডি (I-PhD) কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। তবে এখানেও আপনাকে প্রথম দুই বছর কোর্স ওয়ার্ক করতে হবে। আর তারপরেই একপ্রকার পিএইচডি রেজিস্ট্রেশন বা গবেষণার কাজ শুরু হয়।

অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন এই দুই বছরে আপনার এমএসসি হয়েই গেল। এই কোর্সটিকে এমএস-পিএইচডি (MS-PhD) বলে।

এইসব ক্ষেত্রে অনেক ইনস্টিটিউটে এমএস করার পর এক্সিট অপশন থাকে।

আর যদি ইঞ্জিনিয়ারিং এর কথা বলেন, ইঞ্জিনিয়ারিং বিটেক (BTech) করার পরও PhD করার অপশন থাকে। তবে তিন বছরের বিটেক হলে আপনাকে এমটেক (M-Tech) করে তারপরই পিএইচডির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ধন্যবাদ।

 

✍️ অভিষেক

Post a Comment

Previous Post Next Post